বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে গ্রামীণ পরিবেশে ভিন্নভাবে ঈদ উদ্যাপন করতে দেখা গেল। স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পুকুরে গোসল করতে ও সাঁতার কাটতে দেখা যায় বিএনপির এই নেতাকে।
শুক্রবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে নিজ বাড়ির পুকুরে দলীয় নেতা–কর্মীদের নিয়ে সাঁতার কাটেন তিনি। এ সময় পুকুরঘাটে বসে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আড্ডারত ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের কিছু ছবিও পাওয়া যায়। সেখানে অন্যদের সঙ্গে শর্টস পরিহিত মওদুদকে ভেজা শরীরে হাস্যোজ্জ্বল অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়।
এ সময় নেতা কর্মীরা তিনি নিয়মিত সাঁতার কাটার ও ব্যায়াম করার পরামর্শ দেন। পরে নেতা কর্মীদের নিয়ে তিনি আড্ডা দেন। শুক্রবার বিকেলে ঢাকায় আসেন।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ১৯৪০ সালের মে মাসের ২৪ তারিখ নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৭৭-৭৯ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকারের মন্ত্রী ও উপদেষ্টা ছিলেন। ১৯৭৯ সালে তিনি প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং তাকে উপ-প্রধানমন্ত্রী করা হয়। ১৯৮১ সালের মে মাসে জিয়াউর রহমান নিহত হন এবং এক বছরের ভেতর হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করেন। ১৯৮৫ এর নির্বাচনে মওদুদ আহমেদ আবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং এরশাদ সরকারের তথ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। এক বছর পর ১৯৮৬ এ তাকে আবার উপ-প্রধানমন্ত্রী করা হয়। ১৯৮৮ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। ১৯৮৯ সালে তাকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং এরশাদ তাকে উপ-রাষ্ট্রপতি করেন। ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ সালে এরশাদ সরকার জনরোষের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়। জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে ১৯৯১-এ মওদুদ আহমেদ আবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। ২০০১ সালেও তিনি বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পাঁচবার মওদুদ আহমেদ নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা থেকে নির্বাচিত হন